কবিয়াল মদন সরকার নেত্রকোণার একজন
সুপরিচিত বাউল কবি । তিনি অসংখ্য
গানের রচয়িতা । তার একটা গান।
আছেন যতো পল্লীবাসী
গরীব কাঙ্গাল ভাই
আমার কথা কানে তোলেন
এমন কেহ নাই ।
আপনা নিয়া ব্যস্ত
মস্ত মস্ত লোক
পরের দিকে চাননা কেহ
খোঁজেন নিজের সুখ ।
কবিয়াল মদন সরকার নেত্রকোণার একজন
সুপরিচিত বাউল কবি । তিনি অসংখ্য
গানের রচয়িতা । তার একটা গান।
আছেন যতো পল্লীবাসী
গরীব কাঙ্গাল ভাই
আমার কথা কানে তোলেন
এমন কেহ নাই ।
আপনা নিয়া ব্যস্ত
মস্ত মস্ত লোক
পরের দিকে চাননা কেহ
খোঁজেন নিজের সুখ ।
অন্তিম কালের কালে ও কি হয় না জানি ।
কি মায়া ঘোরে কাটালাম হারে দিনমণি।।
এনেছিলাম, বসে খেলাম,
উপার্জন কই করিলাম,
বিকশের বেলা
খাটবে না ভেলা
এলো বানি।।
জেনে শুনে সোনা ফেলে
মন মজালাম রাঙ্ পিতলে,
এ লাজের কথা
বলিব কোথা
আর এখনি।।
ঠকে গেলাম কাজে কাজে,
ঘিরিল তনু পঞ্চাশে
লালন বলে মন
কি হবে এখন
বল্ রে শুনি।।
অনেক ভাগ্যের ফলে সে চাঁদ কেউ
দেখিতে পায়।
অমাবস্যে নাইরে চাঁদে দ্বি-দলে তার কিরণ
উদয়।।
বিন্দু মাঝে সিন্ধু-বারি
মাঝখানে তার স্বর্ণগিরি
অধর চাঁদের শূন্যপুরী
সেহি তো তিল-প্রমাণ জায়গায়।।
যেথা রে সে চন্দ্র ভুবন
দিবারাত্রির নাই অম্বেষণ
কোটি চন্দ্র জিনি কিরণ
বিজলি সঞ্চারে সদায়।।
দরশনে দুঃখ হরে
পরশনে পরশ করে
এমনি সে চান্দের মহিমে
লালন ডুবে ডোবে না তায়।।
অকুল পাড় দেখে মোদের লাগল রে ভয়।
মাঝি বেটা বড় ঠেঁটা, হাল ছেড়ে দিয়ে
বগল বাজায়।।
উজান ভাটি তিনটি নালে
দোম দমা দোম বেদম কলে
এক শব্দ হয়।
গুরুর গুরু পবন গুরু প্রেম আনন্দে
সাঁতার খেলায়।।
সামনেতে অপার নদী
পার হয়ে যায় ছয় জন বাদী
কিরূপ লীলাময়।
লালন বলে, ভাব জানিয়ে ডুব দিয়ে রত্ন
উঠায়।।
এমন সৌভাগ্য আমার কবে হবে
দয়াল চাঁদ আসিয়ে আমায় পার করিবে।।
আমার সাধনের বল কিছু নাই
কেমনে সে পারে যাই
কূলে বসে দিচ্ছি দোহাই
অপার ভেবে।।
পতিতপাবন নামটি তার
তাই শুনে বল হয় আমার
আবার ভাবি এ পাপি আর
সে কি নিবে।।
গুরু পদে ভক্তিহীন
হয়ে রইলাম চিরদিন
লালন বলে কি করিতে
এলাম ভবে।।
ঘরের মানুষ আছে ঘরে
তারেও চিনলাম না—-
চিনে ভালবাসলে পরে
বিচারের ভয় রবে না,
তোমার মরনের ভয় রবে না।।
দুশছয়টি টুকরো কাঠে
বিনা পেরেক সেইঘর আঁটে
তিনশ ষাটটি তার লাগিয়ে
চালায় মালিক কারখানা।।
আট কুঠুরী ঘরের নয় দরজা
তিনজন উজির তিনজন রাজা
তিনতলা ঘর বড়ই মজার
পাঁচজনার ঐ বারামখানা।।
সাততলা ঘর সিংহাসনে
বসে আছে মালিক নিজের ধ্যানে
লালন বলে অন্যমনে
কর গুরুর সাধনা।।
আরবী ভাষায় বলে আল্লা
ফরাসীতে হয় খোদাতালা
গড্ বলছে যিশুর চ্যালা
ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভাবে।।
মনের ভাব প্রকাশিতে
ভাষার উদয় এ জগতে
মনাতীত অধরে চিনতে
ভাষাবাক্যে নাহি পারে।।
আল্লাহরি ভজন পূজন
সকলি মানুষের সৃজন
অনামক অচিনায় কখন
বাগীন্দ্রিয় না সম্ভবে।।
আপনাতে আপনি ফানা
হলে তারে যাবে জানা
সিরাজ সাঁই কয় লালন কানা
স্বরূপে রূপ দেখ সংক্ষেপে।।
সব লোকে কয় লালন কি জাত এ সংসারে।
লালন বলে জাতের কি রূপ দেখলেম না এ
নজরে।।
কেউ মালা কেউ তসবী গলে
তাইত রে জাত ভিন্ন বলে
যাওয়া কিম্বা আসার বেলায়
জাতের চিহ্ন রয় কারে।।
ছুন্নত্ দিলে হয় মুসলমান
নারীর তবে কি হয় বিধান
বামন চিনি পৈতেয় প্রমাণ
বামনী চিনি কি প্রকারে।।
জগত্ বেড়ে জাতের কথা
লোকে গল্প করে যথা তথা
লালন বলে, জাতের ফাত্ না
ডুবিয়েছি সাধ বাজারে।।
আমি কী বলিব আর? বিচ্ছেদের অনলে পুড়ে কলিজা আঙ্গার.. প্রাণ বন্ধের পিড়িতে আমায় পাগল করেছে, দেওয়ানা বানাইছে, কী জাদু করিয়া বন্ধে মায়া লাগাইছে.. বাউল আব্দুল করিম গায়, ভুলিতে পারিনা আমার মনে যারে চায়.. কুল-নাশা পিড়িতের নেশায় কুল-মান গিয়াছে, দেওয়ানা বানাইছে, কী জাদু করিয়া বন্ধে মায়া লাগাইছে..
গানের সোর্স এর জন্য যান “শাহ আবদুল করিম-এর গান” ফেসবুক পেইজে।
কী আগুন জ্বালাইলো বন্ধে গো, সখি নিভাইলে নিভে না.. জল ঢালিলে দ্বিগুণ জ্বলে, উপায় কি বলো না?.. আমার বন্ধু বিনে পাগল মনে বুঝাইলে বুঝেনা..
গানের সোর্স এর জন্য যান “শাহ আবদুল করিম-এর গান” ফেসবুক পেইজে।
তরে পাই যদি হে গুণের নন্দন, কেটে যাবে ভব বন্ধন.. লোকের নিন্দন, আতর-চন্দন, সাধ করে গায় মাখবো.. রাখো মারো যাই করো, তোমার আশায় থাকবো.. আমি তোমায় বন্ধু বলে ডাকবো..
গানের সোর্স এর জন্য যান “শাহ আবদুল করিম-এর গান” ফেসবুক পেইজে।
না পাই যদি যাবো মরে, পাইলে রাখবো তরে মনের ঘরে, নয়নের জল কাজল করে, তোমার ছবি আঁকবো.. রাখো মারো যাই করো, তোমার আশায় থাকবো.. আমি তোমায় বন্ধু বলে ডাকবো..
গানের সোর্স এর জন্য যান “শাহ আবদুল করিম-এর গান” ফেসবুক পেইজে।
তুমি থাকবে কাছে ইচ্ছা হলে, যেতে চাইলে যাবে চলে, বাউল আব্দুল করিম বলে, তোমায় কেমন করে রাখবো?.. রাখো মারো যাই করো, তোমার আশায় থাকবো.. আমি তোমায় বন্ধু বলে ডাকবো..
গানের সোর্স এর জন্য যান “শাহ আবদুল করিম-এর গান” ফেসবুক পেইজে।
কি ধন লৈয়া আইলায় ভবে? কি ধন যাইবায় লৈয়া? ভবে এসে ভুলিয়া গেলায় ভবের মায়া পাইয়া.. ভব সাগরের নাইয়া, মিছা গৌরব করো রে পরার ধন লইয়া.. একদিন তুমি যাইতে হবে এই সমস্ত থুইয়া.. পরার ধন লইয়া..
গানের সোর্স এবং ডাউনলোড লিংকের জন্য যান “শাহ আবদুল করিম-এর গান” ফেসবুক পেইজের এই পোস্টে।
সাগরে ভাসাইয়া কুল-মান, তোমারে সঁপিয়া দিলাম আমার দেহ-মন-প্রাণ.. সর্বস্ব ধন করিলাম দান তোমার চরণের তরে, সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে..
গানের সোর্স এবং ডাউনলোড লিংকের জন্য যান “শাহ আবদুল করিম-এর গান” ফেসবুক পেইজের এই পোস্টে।
যে দিন হতে তোমার প্রেমে আমি সঁপেছি পরাণি, সেদিন হইতে বারণ হয়না দুই নয়নের পানি.. বন্ধু, কি হৈবো না জানি..
গানের সোর্স এবং ডাউনলোড লিংকের জন্য যান “শাহ আবদুল করিম-এর গান” ফেসবুক পেইজের এই পোস্টে।
আমারে ছাড়িয়া যদি যাও, প্রতিজ্ঞা করিয়া বলো- আমার মাথা খাও.. তুমি যদি আমায় কান্দাও, তোমার কান্দন পরে রে.. আমি এই মিনতি করি রে, সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে.. তুমি বিনে আকুল পরাণ, থাকতে চায়না ঘরে রে.. সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে..
গানের সোর্স এবং ডাউনলোড লিংকের জন্য যান “শাহ আবদুল করিম-এর গান” ফেসবুক পেইজের এই পোস্টে।
রঙ্গের দুনিয়া তরে চাই না, দিবা-নিশি ভাবি যারে তারে যদি পাই না.. রঙ্গের দুনিয়া তরে চাই না.. বন্ধুর প্রেমে পাগলিনী, শান্তি নাই দিন-রজনী, কুলহারা কলঙ্কিনী কারও কাছে যাই না.. রঙ্গের দুনিয়া তরে চাই না.. প্রাণ-বন্ধের সঙ্গ নিলাম, ভালোবেসে মনও দিলাম, আগেই যাহা ভেবেছিলাম এখন ভাবি তাই না! রঙ্গের দুনিয়া তরে চাই না.. আসি বলে গেলো চলে, ভাসি সদাই নয়ন জলে, বাউল আব্দুল করিম বলে রঙ্গের গান আর গাই না.. রঙ্গের দুনিয়া তরে চাই না..
গানের সোর্স এবং ডাউনলোড লিংকের জন্য যান “শাহ আবদুল করিম-এর গান” ফেসবুক পেইজের এই পোস্টে।
বলে বলুক লোকে মন্দ, তাতে ক্ষতি নাই, এ করিম কয় তোমার কাছে মায়া যদি পাই.. তুমি যদি দাও না রে ঠাই, কি করতাম আর বাঁচিয়া, প্রাণ বন্ধুয়া যত দোষী তোমারও লাগিয়া..
গানের সোর্স এবং ডাউনলোড লিংকের জন্য যান “শাহ আবদুল করিম-এর গান” ফেসবুক পেইজের এই পোস্টে।
অনেকে বলে আমাকে গাও না একটা তেল-চোরার গান, তেলচূড়া যে বিষম চোরা সে যে অনেক ক্ষমতাবান.. দেখরে ভাই বিচার করে, তেল-চোরা রয়েছে ঘরে, সুকৌশলে চুরি করে, চোরে জানে চুরির সন্ধান.. ভুতত্ববিজ্ঞানী যারা, চিন্তা ভাবনা করেন তারা, মনে প্রাণে চেষ্টা করা, এই যে তাদের কর্মবিধান.. বহু খোঁজাখুঁজির পরে, তেল মিলেছে হরিপুরে, আনন্দ সবার অন্তরে, যারা বাংলার মায়ের সন্তান.. হরিপুরে হরিলুঠ কেন, দেশবাসী কি খবর জানো, তেল-চোরা তেল নিলো শোন, এদেশকে করতে চায় শ্মশান.. এই ভাবে তেল দেয়া যায় না, দেশবাসী তা মানতে চায় না, করেন সবাই বিবেচনা, এই তেল মায়ের দুধের সমান.. দেশের সম্পদ দেশবাসীর হয়, ব্যাক্তিগত মালিক কেউ নয়, রয়েছে তেল-চোরারই ভয়, দেশবাসী হও সাবধান.. দেশের সম্পদ রক্ষা করো, মনের দুর্বলতা ছাড়ো, দেশের কর্ম নিজে করো, চোরে চায় না দেশের কল্যান.. বাউল আব্দুল করিমে গায়, পড়েছি বিষম ধাঁধায়, সাধুজনায় অসুবিধায়, বেড়ে গেছে তেল-চোরার মান..
গানের সোর্স এর জন্য যান “শাহ আবদুল করিম-এর গান” ফেসবুক পেইজের এই পোস্টে।