দোষ করিলে বিচার আছে

19 07 2012

দোষ করিলে বিচার আছে,
সেই ব্যবস্থা রয়ে গেছে,
দয়া চাইনা তোমার কাছে,
আমরা উচিত বিচার চাই..

দোষী হলে বিচারে,
সাজা দিবা তো পরে,
এখন মারো অনাহারে
কোন বিচারে জানতে চাই?

জিজ্ঞাস করি তোমার কাছে বল ওগো সাঁই..
এ জীবনে যত দুঃখ কে দিয়াছে বল তাই?..

গানের সোর্স এবং ডাউনলোডের জন্য যান “শাহ আবদুল করিম-এর গান” ফেসবুক পেইজের এই পোস্টে।





তোমার পিরিতে বন্ধু রে

19 07 2012

তোমার পিরিতে বন্ধু রে,
বন্ধু, কী হইব না জানি!..
তুমি আমায় করবায় নাকি মিছা কলঙ্কিনি?
বন্ধু, কী হইব না জানি!

আমি তোমার প্রেমের পাগল,
কাঁদি দিনরজনী..
কোন পরাণে ভিন্ন বাসো?
কহ কহ শুনি..
বন্ধু, কী হইব না জানি!

যে দিন হতে তোমার প্রেমে
সঁপেছি পরাণি..
সেদিন হইতে বারণ হয়না
দুই নয়নের পানি..
বন্ধু, কী হইব না জানি!..

গানের সোর্স এবং ডাউনলোডের জন্য যান “শাহ আবদুল করিম-এর গান” ফেসবুক পেইজের এই পোস্টে।





তোমরা কুঞ্জ সাজাও গো

19 07 2012

তোমরা কুঞ্জ সাজাও গো,
আজ আমার প্রাণনাথ আসিতে পারে..
দিল চায়, মন চায়, প্রাণ চায় তারে..

বসন্ত সময়ে কুকিল ডাকে কুহু সুরে,
যৌবন বসন্তে মন থাকতে চায়না ঘরে..
তোমরা কুঞ্জ সাজাও গো,
আজ আমার প্রাণনাথ আসিতে পারে..

আতর গোলাপ সোয়া-চন্দন আনো যতন করে,
সাজাও গো ফুলের বিছানা পবিত্র অন্তরে..
তোমরা কুঞ্জ সাজাও গো,
আজ আমার প্রাণনাথ আসিতে পারে..

নয়ন যদি ভুলে সইগো মন ভুলেনা তারে,
এগো প্রেমের আগুন হইয়া দ্বিগুণ দিনে-দিনে বাড়ে
তোমরা কুঞ্জ সাজাও গো,
আজ আমার প্রাণনাথ আসিতে পারে..

আসে যদি প্রাণবন্ধু দুঃখ যাবে দূরে,
আমায় যেন ছেড়ে যায় না প্রবোধ দিও তারে..
তোমরা কুঞ্জ সাজাও গো,
আজ আমার প্রাণনাথ আসিতে পারে..

আসিবে আসিবে বলে ভরসা অন্তরে,
এ করিম কয় পাই যদি আর ছাড়িবো না তারে..
তোমরা কুঞ্জ সাজাও গো,
আজ আমার প্রাণনাথ আসিতে পারে..

গানের সোর্স এবং ডাউনলোডের জন্য যান “শাহ আবদুল করিম-এর গান” ফেসবুক পেইজের এই পোস্টে।





জিজ্ঞাস করি তোমার কাছে বলো ওগো সাঁই

19 07 2012

জিজ্ঞাস করি তোমার কাছে বলো ওগো সাঁই..
এ জনমের যত দুঃখ কে দিয়াছে বলো তাই?..

দোষ করিলে বিচার আছে, সেই ব্যবস্থা রয়ে গেছে,
দয়া চাইনা তোমার কাছে, আমরা উচিৎ বিচার চাই …
দোষী হৈলে বিচারে, সাজা দিবা তো পরে,
এখন মারো অনাহারে, কোন বিচারে জানতে চাই?..

এই কি তোমার বিবেচনা? কাওরে দিলায় মাখন-ছানা,
কারও মুখে অন্ন জুটে না, ভাঙ্গা ঘরে ছানি নাই..
জানো শুধু ভোগ-বিলাস, জানো গরিবের সর্বনাশ,
কেড়ে নাও শিশুর মুখের গ্রাস, মনে বড় দুঃখ পাই..

তোমার এসব ব্যবহারে, অনেকেই মানিনা তোমারে,
কথায় কথায় তুচ্ছ করে, আগের ইজ্জত তোমার নাই..
রাখতে চাইলে নিজের মান, সমস্যা করো সমাধান,
নিজের বিচার নিজেই করো, আদালতের দরকার নাই..

দয়াল বলে নাম যায় শোনা, কথায়-কাজে মিল পরে না,
তোমার মান তুমি রাখো না, আমরা তো মান দিতেই চাই..
আমি-তুমি এক হইলে, পাবেনা কোনও গোলমালে,
বাউল আব্দুল করিম বলে, আমি তোমার গুণ গাই..

জিজ্ঞাস করি তোমার কাছে বলো ওগো সাঁই..
এ জনমের যত দুঃখ কে দিয়াছে বলো তাই?..

গানের সোর্স এবং ডাউনলোডের জন্য যান “শাহ আবদুল করিম-এর গান” ফেসবুক পেইজের এই পোস্টে।





লোকে বলে বলেরে

13 07 2012

লোকে বলে বলেরে
ঘর-বাড়ি ভালা নাই আমার
কি ঘর বানাইমু আমি শূণ্যেরও মাঝার।।
ভালা কইরা ঘর বানাইয়া
কয়দিন থাকমু আর
আয়না দিয়া চাইয়া দেখি
পাকনা চুল আমার।।
এ ভাবিয়া হাসন রাজা
ঘর-দুয়ার না বান্ধে
কোথায় নিয়া রাখব আল্লায়
তাই ভাবিয়া কান্দে।।
জানত যদি হাসন রাজা
বাঁচব কতদিন
বানাইত দালান-কোঠা
করিয়া রঙিন।।





পিরীত করিয়ে, পিরীত করিয়ে মোর মন উদাসী

13 07 2012

পিরীত করিয়ে, পিরীত করিয়ে মোর মন উদাসী।
প্রাণ গেল প্রাণ গেল, বন্ধুরে ভালবাসি।।
কথা কয় প্রাণ বন্ধে, যখন হাসি হাসি।
দেখিয়ে তাঁর রূপের বাহার, আইসে মোর বেহুশী।।
পিরীত আজব চিজ্ জগতের প্রধান।।
পিরীত কর প্রেমিকেরা, ছাড়িয়ে কুল মান।
পিরীত রত্ন কর যত্ন, পিরীতি জানিয়া সার।।
পিরীত ভাবে পাইবায়, বন্ধুয়ার দিদার।
হাছন রাজায় পিরীত করিয়া বন্ধুয়ারে পাইয়া।
এই কথা হাছন রাজা, ফিরে গাইয়া গাইয়া।।





রঙ্গিয়া রঙ্গে আমি মজিয়াছি রে

13 07 2012

রঙ্গিয়া রঙ্গে আমি মজিয়াছি রে।
মজিয়াছি রে, আমি ডুবিয়াছি রে।।
আরশি পড়শী যাই চল, যাইমু বন্ধের সনে রে।
কিবা ক্ষণে গিয়াছিলাম সুরমা নদীর গাঙ্গে।
বন্ধে মোরে ভুলাইলো, রঙ্গে আর ঢঙ্গে রে।।
হাটিয়া যাইতে খসিয়া যায় বন্ধে অঙ্গে, অঙ্গে।
ধনকড়ি তোর কিছু চায় না, যৌবন কেবল মাঙ্গে রে।
হাছন রাজায় নাচন করে প্রেমেরি তরঙ্গে।
পাইলে কখন ছাড়িবে না, এই মনে পাঙ্গে রে।।





আমি না লইলাম আল্লাজির নাম

13 07 2012

আমি না লইলাম আল্লাজির নাম।
না কইলাম তার কাম।
বৃথা কাজে হাছন রাজায় দিন গুয়াইলাম।।
ভবের কাজে মত্ত হইয়া দিন গেল গইয়া।
আপন কার্য না করিলাম, রহিলাম ভুলিয়া।।
নাম লইব নাম লইব করিয়া আয়ু হইল শেষ।
এখনও না করিলাম প্রাণ বন্ধের উদ্দেশ।।
আশয় বিষয় পাইয়া হাছন (তুমি) কর জমিদারি।
চিরকাল থাকিবেনি হাছনরাজা লক্ষ্মণছিরি।।
কান্দে কান্দে হাছন রাজা, কী হবে উপায়।
হাসরের দিন যখন পুছিবে খোদায়।।
ছাড় ছাড় হাছন রাজা, এই ভবের আশ।
(কেবল) এক মনে চিন্তা কর, হইতাম বন্ধের দাস।।





এগো মইলা, তোমার লাগিয়ে হাছন রাজা বাউলা

13 07 2012

এগো মইলা, তোমার লাগিয়ে হাছন রাজা বাউলা।
ভাবতে ভাবতে হাছন রাজা হইল এমন আউলা।।
দিনে রাইতে উঠে মনে, প্রেমানলের শওলা।
আর কত সহিব প্রাণে, তুই বন্ধের জ্বালা।।
সোনার রং অঙ্গ আমার, হইয়াছে রে কালা।
অন্তরে বাহিরে আমার জ্বলিয়ে রহিল কয়লা।।
লোকে বলে হাছন রাজা হইল রে আজুলা।
হাতে তলি দিয়া গিল্লা, করেরে কট মুল্লা।।
আজুলা হইয়া হাছন রাজায় বলে আল্লা।
বারে বারে বলে, লাইলাহা ইল্লাল্লা।
নাচে নাচে হাছন রাজা হইয়া ফানা ফিল্লা।।





সোনা বন্ধে আমারে

13 07 2012

সোনা বন্ধে আমারে দেওয়ানা বানাইলো
সোনা বন্ধে আমারে পাগল করিল।
আরে না জানি কি মন্ত্র করি জাদু করিল।।
রূপের ঝলক দেখিয়া তার আমি হইলাম কানা
সেই অবধি লাগল আমার শ্যাম পিরিতির টানা।।
হাসন রাজা হইল পাগল লোকের হইল জানা
নাচে নাচে পালায় পালায় আর গায়ে জানা।।
মুখ চাহিয়া হাসে আমার যত আদি পরী
দেখিয়াছি বন্ধের দুখ ভুলিতে না পারি।।





নিশা লাগিল রে

13 07 2012

নিশা লাগিল রে, নিশা লাগিল রে,
বাঁকা দুই নয়নে নিশা লাগিল রে।
হাসন রাজার পিয়ারীর প্রেমে মজিল রে।।
ছটফট করে হাসন রাজা দেখিয়া চাঁন মুখ
হাসন জানের মুখ দেখিয়া জন্মের গেল দুখ।।
হাসন জানের রূপটা দেখি ফালদি ফালদি উঠে
চিড়া বাড়া হাসন রাজার বুকের মাঝে টুটে।।





খাঁচার ভিতর কাকের ছানা খাওয়াইতেছি ঘৃত চিনি

13 07 2012

খাঁচার ভিতর কাকের ছানা খাওয়াইতেছি ঘৃত চিনি
মন বেড়িতে ধরে নিয়া সামনে দিলাম দানাপানি।।
আট কুটুরী নয় দরজা ঝাঁঝরা কাটা দেখতে মজা
উপরেতে রাকছে সোজা তিনশ ষাট-টা সূতা টানি।।
পাঁচ মসল্লায় খাঁচা তৈয়ার তিন গুণে রচনা তাহার
জোড়াতালি কি চমৎকার চামড়া দিয়া দিল ছানি।।
কাঁচা বাঁশে তেরি করে, জুঁইত দাড়ি লাগাইল পরে
থাকতে দিলো তার ভিতরে আঁধার কোঠায় কালমণি।।
কাকে কেবল কা কা করে ঘরে বাইরে ঘুইরা মরে
জালাল কেমনে রাখবে তারে ভাবিছে তাই দিন রজনী।।





আমারে কেউ চিনতে গেলে

13 07 2012

আমারে কেউ চিনতে গেলে
সোজা রাস্তা হয় বাঁকা।
বয়সে ক্ষুদ খোদার বড়
নামটি কিন্তু নিচে লেখা।।
একং দশং শতং হাজার
চৌরাশি লাখের বাজার
সকল ঘরে রয় দোকানদার
আমি মাত্র আছি একা।।
মুনশি আর মৌলানা কাজী
আমি সবার নায়েব মাঝি
আমার ছিপদ লিখতে আজি
অন্ত পায় না হাদিস ফেকা।্
দেখতে আমর মুখের হাসি
কত বেটা জঙ্গলবাসী
লয়েছে পিরিতের ফাঁসি
তবু নাকি পাইল দেখা।।
আমি রাখছি খোদার নাম
খোদায় করে আমার কাম
জালালে কয় সব বুঝিলাম
ভুল ভাঙ্গিতেই ভীষণ ঠেকা।।





ওগো স্বামী বল আমার কোথায় রাখি পা

13 07 2012

ওগো স্বামী বল আমার কোথায় রাখি পা
বাড়াই চরণ শিউড়ে উঠি দেইখ্যা তোমার গা।।
এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড মাঝে সেজেছিস তুই কতই সাজে
সবখানেতে তোরেই দেখি যেখানেতে আছে যা।।
দেহের গোমান কইরা মরি কিছুই তাতে নাই আমরারই
ছায়াবাজির ছায়া শুধু এ ছাড়া আর কিছুই না।।
আমি শুধু নামে নামী তুমিই যে সব কামের কামী
মাঝখানেতে হই বদনামী কুলির বাসায় কাকের ছা।।
পঞ্চভূতে দিয়া বেড়া আমার মাঝেই তোর চেহারা
লুকি দিয়া দেহের খাচায় জালাল নামে করিস রা।।





আসল নাম তার ঠিক পেলাম না

13 07 2012

আসল নাম তার ঠিক পেলাম না
শুনি কেবল যে যা বলে
সারা জীবন গেল আমার
পড়িয়া এই গণ্ডগোলে
কেউ বলিছে আগুন আল্লা কেউ বলিছে পানি হাওয়া
নাকের নলে জীবের ঘটে করিয়াছে সে আসা যাওয়া
যায় না তাহার নাগাল পাওয়া ঘুরতেছে সে ফাঁকির তালে
আত্মরূপে জীবের ঘটে যোগাইয়া নেয় বুদ্ধি তার
ব্রহ্ম অণ্ডে খণ্ডে খণ্ডে ভরে আছে এ সংসার
নাই কাহারও অধিকার ধরতে তারে কোনো কালে।
জালালে কয় শূন্য সময় সর্ব ব্যস্ত সদাই সে রয়
আদি অন্ত নাহি কিছু তার ভাবনাতে তাই হই বেহাল
সর্বক্ষম আর সর্ব ব্যস্ত কি দোষ হবে তারে বললে





দরবেশ তুমি আল্লাহ খোঁজ

13 07 2012

দরবেশ তুমি আল্লাহ খোঁজ
ঋষি খোঁজ ভগবান।
হয় না দেখছি কারো সাধ্য
করিতে তার অনুসন্ধান।।
ছিড়া ক্যাঁথা লেংটি ঝাঁটা
ঊর্ধ্ব অঙ্গে দীর্ঘ ফোঁটা।
মিছে সব ফন্দি আটা
সাড় করিল বন শশ্মান।।
ভগবান সে নয় জানোয়ার
কি দেখা পাবো গো তার
পাইল পাইবে স্বরূপ সাকার
যে রূপ আছে বর্তমান।।
তন্ত্র মন্ত্র উপবাসে
প্রাণায়াম কি রুদ্ধশ্বাসে
থাকতে আছো কোনো বিশ্বাসে
করে শুধু হাওয়া পান।।
নিজকে যখন চোখে ভাসে
বাক্যে তখন সিদ্ধি আসে
সকল বন্ধন যাবে খসে
আগ দোয়ারে উড়বে নিশান।।
তারে আর ভেবো না জুদা
ক্ষুদ নিয়ে হয়েছে খোদা
জালাল উদ্দির মন বেহুদা
ঘুরছে সদা পাহাড় ময়দান।।





ডুবলে নি কেউ ভাসে জীবন লইয়া

13 07 2012

ডুবলে নি কেউ ভাসে জীবন লইয়া
প্রাণ সই গো।
ডুবলে নি কেউ ভাসে জীবন লইয়া।।
সইগো সই…….
ঝাপ দিছি প্রেম সাগরেতে
আপন যৌবন লইয়া সখী-
আপন যৌবন লইয়া।
আর কি আমার পড়ে মনে
ভাসব জীবন লইয়া।
প্রাণ সই সই গো।।
প্রাণ সখী গো-
তোরা গৃহে যাগে সখী
ভরা কলসী লইয়া
আমার কথা জিগাইলে কইছ
কুম্ভীরে খায় ধরিয়া রে ধরিয়া।।
প্রাণ সখী-
কালিয়া কজলে আঁখি
কার বানে যায় চাইয়া সখী
কার বানে যায় চাইয়া।
শুধু দেহ পরে থাকবে
ময়না যায় উড়িয়া।
প্রাণ সই গো।।
প্রাণ সখী গো-
তোরা কেউ যাসনে সখী
কদম তলা দিয়া।
জালালে কয় প্রেম ঠাকুরে
বস্ত্র নেয় কাড়িয়া
প্রাণ সখী গো।।





আমার আমার কে কয় কারে

13 07 2012

আমার আমার কে কয় কারে
ভাবতে গেল চিরকাল।
আমি আদি , আমি অন্ত
আমার নামটি রুহুজ্জামাল।্
আমি ময় অনন্ত বিশ্ব
আমি বাতিন আমি দৃশ্য
আমি আমার গুরুর শিষ্য
ইহকাল কি পরকাল।।
আমার ভাবে আমি খাড়া
আমরা স্বভাব পড়ল ধরা
আমি জেঁতা আমি মরা
আমার নাহি তাল বেতাল।।
আমি লাইলী আমি মজনু
আমার ভাবনায় কাষ্ট তুমি
আমি ইউসুফ, মুই জুলেখা
শিরি ফরহাদ কেঁদে বেহাল।।
আমার এশকের তুফান
আমার লাগি হয় পেরেশান
আবাদ করলাম সারা জাহান
আবুল বাশার বিন্দু জালাল।।
আমি রোমের মৌলানা
শামস তো ব্রেজ দেওয়ানা
ঝুমলে আলম মোর শাহানা
খাজা সুলতান শাহ্ জালাল।।





জন্মে যে জন পাপ করে না ভাগী নয় যে করুণার

13 07 2012

জন্মে যে জন পাপ করে না ভাগী নয় যে করুণার
পাপির আছে তোমার কাছে দয়া পাইতে অধিকার।
পাপ না করলে মাফ করবে কি তখতে তুমি বসিয়া
মাফ না দিলে রহমানী নাম যাবে তোমার মুছিয়া।
তবে পুণ্য করে কাজ কি আছে
তোর কাছে হাত পাতিবার।।
দুর্বলের বন্ধু তুমি
সবলের তো কিছুই না।
প্রবল তোরে জনম ভরে
একদিন স্মরণ কর না।
অধম জেনে নেয়গো টেনে
খুলে তোমার রুদ্ধদ্বার।।
কোথায় ছিলাম, কেমনে আইলাম
কেমন ছলেতে
চেষ্টা করে পারলাম না আর
নিগূঢ় তত্ত্ব বুঝিতে।
জীবন গেল জলের স্রোতে
ভাসতে আছি অনিবার।।
কোথায় বা রয়েছ আল্লাহ
কোনো সাগরের তীরে
হাওয়ায় মিশে বেড়াইতেছ
কোনো আকা ফিরে।
মৃত্যু সবার সঙ্গের সাথী
বাতি নিভলে অন্ধকার।।
সমাধির পুণ্য গর্ভে, দেহ যখন হইবে লীন
আর কি বাকী থাকবে আমার আসতে ভবে কোনোদিন।
কাতরে কয় জালাল উদ্দিন
এই খেলা পাতিস না আর।।





চিনগে মানুষ ধরে

13 07 2012

চিনগে মানুষ ধরে
মানুষ দিয়া মানুষ বানাইয়া
সেই মানুষে খেলা করে।।
কিসে দিব তার তুলনা
কায়া ভিন্ন প্রমাণ হয় না
পশু পক্ষী জীব জানোয়ার
যত আছে এই সংসারে।।
দুই ভাণ্ডের পানি দিয়া
সকল মানুষ গড়ে
তার ভিতরে নিজে গিয়া
আত্মারূপে বিরাজ করে।।
মায়া সূঁতে জাল বুনিয়া
প্রেমের ফুলে ভাব তুলিয়া
প্রাণেতে প্রাণ মিশাইয়া
রুহু জগত ঘুরে।
নবরঙে ফুল ফুটিলে
ভ্রমর আসে উড়ে
ফুলের মধু দেখতে সাদা
আপনি খেয়ে উদর ভরে।
স্বরূপ নিয়ে দেখ না চেয়ে
পুরুষ নহে সবই মেয়ে
চল ভেদ-বিচারে।।
একটি পুরুষ নিজ ছুরতে
জগত মাঝে ঘুরে
লক্ষ নারীর মন যোগাইয়া
প্রেমের মরা আপনি মরে।