এই পৃথিবী যেমন আছে তেমনি ঠিক রবে

8 07 2012

এই পৃথিবী যেমন আছে তেমনি ঠিক রবে
সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে
তোমার নগদ তলব তাগিদ পত্র এসে পরবে যবে
মোহ ঘুমে যে দিন আমার মুদিরে দুই চোখ
পাড়াপড়শী প্রতিবেশী পাবে কিছু শোক
তখন আমি যে এই পৃথিবীর লোক ভুলে যাবে সবে
যত বড় হউকনা কেন রাজা জমিদার
পাকা বাড়ি জুড়ি গাড়ি ট্রানজিস্টার
তখন থাকবে না কোন অধিকার বিষয় ও বৈভবে
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা আকাশ বাতাস জল
যেমন আছে তেমনি ঠিক রইবে অবিকল
মাত্র আমি আর থাকবোনা কেবল জনপূর্ণ ভবে
শব্দ স্পর্শ রূপ রস গন্ধ বন্ধ হলো যেন
এই পৃথিবীর অস্বস্তি বোধ থাকবেনা আর হেন
পাগল বিজয় বলে সেই দিন যেন এসে পড়ে কবে।





তুমি জানো নারে প্রিয় তুমি মোর জীবনের সাধনা

8 07 2012

তুমি জানো নারে প্রিয় তুমি মোর জীবনের সাধনা
তোমায় প্রথম যেদিন দেখেছি মনে আপন মেনেছি
তুমি বন্ধু আমার বেদন বুঝো না
ফাল্গুন দোল পূর্ণিমায় মধুর মৃদু বায়ু বয়
ফুলবনে পুলকের আল্পনা
মাধুয়া মাধুবী রাতে বঁধুয়া তোমারি সাথে
করেছিনু সে যামিনী যাপনা
চলে গেলে আমায় ফেলে কি আগুন মোর বুকে জ্বেলে
একদিনও ফিরে এসে দেখলে না
যদি পেতাম দুঃখিনীর কুটিরে দেখাইতাম বক্ষ চিঁড়ে
বুকের ব্যথা মুখে বলা চলে না
কাষ্ঠ-নলে দাবানল পোড়ায় কত বন জঙ্গল
মন পোড়ানোর আগুন বন্ধু তাহা নয়
কত বিরহীনির অন্তর তলে
বিনা কাষ্ঠে আগুন জ্বলে
জলে গেলে জ্বলে দ্বিগুণ
নিভে না– না নিভে না
জনমে জনমে ক্ষিতি অপ তেজ মরুৎ ব্যোমে
খুঁজে ফিরি তোমারই ঠিকানা
পাগল বিজয় বলে চিত্ত চোর
আসবে কি জীবনে মোর
বুকে রইলো ব্যথা ভরা বাসনা।





জানিতে চাই দয়াল তোমার আসল নামটা কি

8 07 2012

জানিতে চাই দয়াল তোমার আসল নামটা কি
আমরা বহুনামে ধরাধামে কত রকমে ডাকি
কেউ তোমায় বলে ভগবান আর গড কেউ করে আহ্বান
কেউ খোদা কেউ জিহুদা কেউ কয় পাপীয়ান
গাইলাম জনম ভরে মুখস্থ গান মুখ বুলা টিয়াপাখী
সর্বশাস্ত্রে শুনিতে যে পাই তোমার নাকি পিতামাতা নাই
তবে তোমার নামকরন কে করলে সাঁই বসে ভাবি তাই
তুমি নামি কি অনামি হে সাঁই আমরা তার বুঝি বা কি
কেহ পিতা কেহ পুত্র কয় আবার বন্ধু বলে কেউ দেয় পরিচয়
তুমি সকলেরই সকল আবার কারো কেহ নয়
তোমার যে আসল পরিচয় কে জানে তা কি না কি
বিজয় বলে মনের কথা কই আমি খাঁটি ভাবের পাগল নই
আমার গোল বেঁধেছে মনের মাঝে কাজেই পাগল হই
আমার বুকে যা নাই মুখে তা কই কাঁটা কান চুলে ঢাকি।





যে গুণে বন্ধুরে পাবো, সে গুণ আমার নাই গো

8 07 2012

যে গুণে বন্ধুরে পাবো, সে গুণ আমার নাই গো ।।

প্রাণপাখি মনের আনন্দে, ঠেকেছে পীড়িতের ফান্দে
তবে কেন নিরানন্দে কেঁদে দিন কাটাই গো
যে গুণে বন্ধুরে পাবো, সে গুণ আমার নাই গো ।।

যে গুণে আনন্দ বাড়ে, আদর করে রাখে ধারে
গুণ নাই আমার করজোড়ে চরণ ছায়া চাই গো
যে গুণে বন্ধুরে পাবো, সে গুণ আমার নাই গো ।।

হইতাম যদি গুণে গুণী, পাইতাম গো সেই পরশমণি
এ করিমের দিন-রজনী আর ভাবনা নাই গো
যে গুণে বন্ধুরে পাবো, সে গুণ আমার নাই গো ।।





যা হইবার তা হইয়া গেছে

8 07 2012

ভাবিলে কি হবে গো
যা হইবার তা হইয়া গেছে
জাতি কুল যৌবন দিয়াছি
প্রাণ যাবে তার কাছে গো
যা হইবার তা হইয়া গেছে ।।

কালার সনে প্রেম করিয়া
কাল-নাগে দংশিছে
ঝাইড়া বিষ নামাইতে পারে
এমন কি কেউ আছে গো
যা হইবার তা হইয়া গেছে ।।

পীড়িত পীড়িত সবাই বলে
পীড়িত যে কইরাছে
পীড়িত কইরা জ্বইলা-পুইড়া
কতজন যে মরছে গো
যা হইবার তা হইয়া গেছে ।।

আগুনের তুলনা হয়না
প্রেম আগুনের কাছে
নিভাইলে নিভেনা আগুন
কি কইরা প্রাণ বাঁচে গো
যা হইবার তা হইয়া গেছে ।।

বলে বলুক লোকে মন্দ
কুলের ভয় কি আছে
আব্দুল করিম জিতে-মরা
বন্ধু পাইলে বাঁচে গো
যা হইবার তা হইয়া গেছে ।।





যা দিয়েছো তুমি আমায়

8 07 2012

যা দিয়েছো তুমি আমায় কি দেব তার প্রতিদান
মন মজালে ওরে বাউলা গান
আমার, মন মজালে ওরে বাউলা গান

অন্তরে আসিয়া যখন দিলে তুমি ইশারা
তোমার সঙ্গ নিলাম আমি সঙ্গে নিয়া একতারা
মন মানেনা তোমায় ছাড়া তোমাতে সঁপেছি প্রাণ
মন মজালে ওরে বাউলা গান ।।

কি করে পাবো তোমারে তাই ভাবি দিন-রজনী
মনের ভাব প্রকাশ করি কথায় দিয়ে রাগিণী
এস্কে দিল-দরিয়ার পানি ভাটি ছেড়ে বয় উজান
মন মজালে ওরে বাউলা গান ।।

কত গান গেয়ে গেলেন যারা মরমী কবি
আমি তুলে ধরি দেশের দুঃখ-দুর্দশার ছবি
বিপন্ন মানুষের দাবি করিম চায় শান্তির বিধান
মন মজালে ওরে বাউলা গান ।।





বসন্ত বাতাসে সইগো

8 07 2012

বসন্ত বাতাসে সইগো
বসন্ত বাতাসে
বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ
আমার বাড়ি আসে

বন্ধুর বাড়ির ফুলবাগানে
নানান রঙের ফুল
ফুলের গন্ধে মন আনন্দে
ভ্রমর হয় আকুল

বন্ধুর বাড়ির ফুলের বন
বাড়ির পূর্বধারে
সেথায় বসে বাজায় বাঁশী
মন নিল তার সুরে

মন নিল তার বাঁশীর তানে
রূপে নিল আঁখী
তাইতো পাগল আব্দুল করিম
আশায় চেয়ে থাকে





প্রাণে সহেনা দারুণ জ্বালা

8 07 2012

প্রাণে সহেনা দারুণ জ্বালা
প্রেম-ফুলের গন্ধে ঠেকিয়াছি ফান্দে
গলেতে পরেছি প্রেম-মালা, মরণ ভালা
প্রাণে সহেনা দারুণ জ্বালা ।।

আহার না লয় গো মনে
নিদ্রা নাই দুই নয়নে
শয়নে-স্বপনে যায়না ভূলা
দিয়ে তুমি প্রেমালিঙ্গন
শান্ত কর পুড়া মন
সরল তুমি নাম তোমার সরলা, মরণ ভালা
প্রাণে সহেনা দারুণ জ্বালা ।।

কোকিল মত্ত মধুর গানে
ভ্রমর মত্ত মধুপানে
আমি কাঁদি বসিয়া নিরালা
বুঝাইলে না বুঝে মনে
জ্বলে মরি প্রেমাগুনে
অদর্শনে মন-প্রাণ উতালা, মরণ ভালা
প্রাণে সহেনা দারুণ জ্বালা ।।

বাউল আব্দুল করিম বলে
গণার দিন ফুরাইয়া গেলে
যাবো চলে আমি যে একেলা
ভাই-বন্ধু পিতা-মাতায়
কি করিবে ভবের মায়ায়
দমের কোঠায় লাগবে যেদিন তালা, মরণ ভালা
প্রাণে সহেনা দারুণ জ্বালা ।।





পীড়িতি করিয়া বন্ধে ছাড়িয়া গেল

8 07 2012

পীড়িতি করিয়া বন্ধে ছাড়িয়া গেল
আগেত জানিনা বন্ধের মনে কি ছিল

শুন ওগো সহচরী
ধৈর্য্য না ধরিতে পারি
না দেখিলে প্রানে মরি উপায় কি বল
পীড়িতি করিয়া বন্ধে ছাড়িয়া গেল
আগেত জানিনা বন্ধের মনে কি ছিল
পীড়িতি করিয়া বন্ধে ছাড়িয়া গেল

পূর্ব কথা মনে আছে
দেখি নাই চলে গেছে
চিরদিন থাকিবে কাছে এই আশা ছিল
পীড়িতি করিয়া বন্ধে ছাড়িয়া গেল ।।

পাগল আব্দুল করিম বলে
প্রান জ্বলে বিচ্ছেদানলে
প্রানবন্ধু যাবার কালে সঙ্গে না নিল
পীড়িতি করিয়া বন্ধে ছাড়িয়া গেল ।।





দেখা দেওনা কাছে নেওনা

8 07 2012

দেখা দেওনা কাছে নেওনা আর কতো থাকি দূরে
কেমনে চিনিব তোমারে মুর্শিদ ধন হে
কেমনে চিনিব তোমারে।

মায়ার জালে বন্দি হইয়া আর কত দিন থাকিব
মনে ভাবি সব ছাড়িয়া তোমাকে খুজে নেব।।

আশা করি আলো পাবো ডুবে যাই অন্ধকারে
কেমনে চিনিব তোমারে মুর্শিদ ধন হে কেমনে চিনিব তেমোরে

তন্ত্র মন্ত্র করে দেখি তার ভেতরে তুমি নাই
শাস্ত্র গ্রন্থ পড়ি যতো আরো দূরে সরে যাই
কোন সাগরে খেলতেছো লাই ভাবতেছি তাই অন্তরে
কেমনে চিনিব তোমারে মুর্শিদ ধন হে
কেমনে চিনিব তোমারে।

পাগল আব্দুল করিম বলে দয়া করো আমারে
নতশিরে করজোড়ে আছি তোমার দরবারে
ভক্তের অধীন হও চিরদিন থাকো ভক্তের অন্তরে
কেমনে চিনিব তোমারে মুর্শিদ ধনহে
কেমনে চিনিব তোমারে।





দমে দমে পড় জিকির লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্

8 07 2012

দমে দমে পড় জিকির লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্
দমে দমে পড় রে মন লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্
নাম ছাড়া দম ছাড় যদি ঠেকবে হিসাবের বেলা
দমে দমে পড় জিকির লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ ।।

একুল সেকুল দু’জাহানে পার হবি ঐ নামের গুণে
ঠের পাইয়াছে আশেকজনে কোন তলে খেলায় মাউলা
দমে দমে পড় জিকির লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ ।।

মুর্শিদের আওয়াজের বলে পলকেরই কলব জুড়ে
দমের কোঠায় চাবি দিলে দেখবে রে নূরের খেলা
দমে দমে পড় জিকির লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ ।।

বন্দি হইয়া মায়ার জালে ভবের জনম যায় বিফলে
বাউল আব্দুল করিম বলে ভরসা মুর্শিদ মাউলা
দমে দমে পড় জিকির লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ ।।





ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নায়

8 07 2012

কোন মেস্তরি নাও বানাইলো এমন দেখা যায়
ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নায় ।।

চন্দ্র-সূর্য বান্ধা আছে নাওয়েরই আগায়
দূরবীনে দেখিয়া পথ মাঝি-মাল্লায় বায়
ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নায় ।।

রঙ-বেরঙের যতো নৌকা ভবের তলায় আয়
রঙ-বেরঙের সারি গাইয়া ভাটি বাইয়া যায়
ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নায় ।।

জারি গায়ে ভাটি বায়ে করতাল বাজায়
মদন মাঝি বড়ই পাজি কতো নাও ডুবায়
ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নায় ।।

হারা-জিতা-ছুবের বেলা কার পানে কে চায়
পাছের মাঝি হাল ধরিয়ো ঈমানের বৈঠায়
ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নায় ।।

বাউল আব্দুল করিম বলে বুঝে উঠা দায়
কোথা হইতে আসে নৌকা কোথায় চলে যায়
ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নায় ।।





গাড়ি চলে না চলে না

8 07 2012

গাড়ি চলে না চলে না,
চলে না রে, গাড়ি চলে না।
চড়িয়া মানব গাড়ি
যাইতেছিলাম বন্ধুর বাড়ি
মধ্য পথে ঠেকলো গাড়ি
উপায়-বুদ্ধি মেলে না।।

মহাজনে যতন করে
তেল দিয়াছে টাংকি ভরে
গাড়ি চালায় মন ড্রাইভারে
ভালো-মন্দ বোঝে না।।

ইঞ্জিনে ময়লা জমেছে
পার্টসগুলো ক্ষয় হয়েছে
ডাইনামো বিকল হয়েছে
হেডলাইট দুইটা জ্বলে না।।

ইঞ্জিনে ব্যতিক্রম করে
কন্ডিশন ভালো নয় রে
কখন জানি ব্রেক ফেল করে
ঘটায় কোন্‌ দুর্ঘটনা।।

আবুল করিম ভাবছে এইবার
কোন্‌ দিন গাড়ি কি করবে আর
সামনে বিষম অন্ধকার
করতেছে তাই ভাবনা।।





গান গাই আমার মনরে বুঝাই

8 07 2012

গান গাই আমার মনরে বুঝাই
মন থাকে পাগলপারা
আর কিছু চায়না মনে গান ছাড়া ।।

গানে বন্ধুরে ডাকি গানে প্রেমের ছবি আঁকি
পাব বলে আশা রাখি না পাইলে যাব মারা
আর কিছু চায়না মনে গান ছাড়া ।।

গান আমার জপমালা গানে খুলে প্রেমের তালা
প্রাণ বন্ধু চিকন কালা অন্তরে দেয় ইশারা
আর কিছু চায়না মনে গান ছাড়া ।।

ভাবে করিম দ্বীনহীন আসবে কি আর শুভদিন
জল ছাড়া কি বাঁচিবে মীন ডুবলে কি ভাসে মরা
আর কিছু চায়না মনে গান ছাড়া ।।





কেমনে চিনিব তোমারে

8 07 2012

মুর্শিদ ধনহে কেমনে চিনিব তোমারে
দেখা দেওনা কাছে নেওনা, আর কত থাকি দূরে
(মুর্শিদ ধনহে) কেমনে চিনিব তোমারে ।।

মায়া জালে বন্দি হয়ে আর কত কাল থাকিব
মনে লয় সব ছাড়িয়া তোমারে খুঁজে নিব
আশা করি আলো পাব, ডুবে যাই অন্ধকারে
(মুর্শিদ ধনহে) কেমনে চিনিব তোমারে ।।

তন্ত্র-মন্ত্র করে দেখি তার ভিতরে তুমি নাই
শাস্ত্র-গ্রন্থ পড়ি যত আরও দূরে সরে যাই
কোন সাগরে খেলতেছ লাই, ভাবতেছি তাই অন্তরে
(মুর্শিদ ধনহে) কেমনে চিনিব তোমারে ।।

বাউল আব্দুল করিম বলে দয়া কর আমারে
নতশিরে করজোড়ে বলি তোমার দরবারে
ভক্তের অধীন হও চিরদিন, থাক ভক্তের অন্তরে
(মুর্শিদ ধনহে) কেমনে চিনিব তোমারে ।।





কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু

8 07 2012

কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
কেমনে রাখবি তোর মন
কেমনে রাখবি তোর মন
আমার আপন ঘরে বাধিরে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি

পাড়া পড়শী বাদী আমার
বাদী কাল ননদী
মরম জ্বালা সইতে নারি
দিবা নিশি কাঁদিরে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি

কারে কী বলিব আমি
নিজেই অপরাধী
কেঁদে কেঁদে চোখের জলে
কেঁদে কেঁদে চোখের জলে
বহাইলাম নদী রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি

পাগল আব্দুল করিম বলে
হলো এ কী ব্যাধি
তুমি বিনে এ ভুবনে
তুমি বিনে এ ভুবনে
কে আছে আছে ঔষধি রে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি





আর জ্বালা সয়না গো সরলা

8 07 2012

আমি-তুমি দুইজন ছিলাম, এখন আমি একেলা
আর জ্বালা, আর জ্বালা সয়না গো সরলা।।

দুনিয়া ঘুরিনু ঠাই, দুঃখ কইবার জায়গা নাই
মনের দুঃখ কারে জানাই বসে কাঁদি নিরালা
আর জ্বালা, আর জ্বালা সয়না গো সরলা।।

দুঃখে আমার জীবন গড়া, সইলাম দুঃখ জনমভরা
হইলাম আমি সর্বহারা এখন যে আর নাই বেলা
আর জ্বালা, আর জ্বালা সয়না গো সরলা।।

আর কতো সয় কোমল প্রানে, আর কতকাল ঘুরবো বনে
আর কতদিন দুই নয়নে বহাবো নদী-নালা
আর জ্বালা, আর জ্বালা সয়না গো সরলা।।

তুমি চলে গেলে দূরে, প্রাণ-পাখি যাইতে চায় উড়ে গো
যে পাখিরে জনমভরে খাওয়াইলাম দুধ-কলা
আর জ্বালা, আর জ্বালা সয়না গো সরলা।।

বলে করিম দীনহীনে, কতো কথা উঠে মনে গো
তুমি বিনে এ ভুবনে ভাঙ্গিল ভবের খেলা
আর জ্বালা, আর জ্বালা সয়না গো সরলা।।





আমি গান গাইতে জানিনা

8 07 2012

গানে মিলে প্রাণের সন্ধান, সেই গান গাওয়া হলনা
আমি গান গাইতে জানিনা ।।

জানিনা ভাব-ক্রান্তি গাইতে পারিনা সেই গান
যেই গান গাইলে মিলে আঁধারে আলোর সন্ধান
গাইলেন লালন, রাধা রমণ, হাসন রাজা দেওয়ানা
আমি গান গাইতে জানিনা ।।

বাউল মুকুন্দ দাস গেয়েছেন দেশেরই গান
বিদ্রোহী নজরুলের গানে পাইলেন মুক্তির সন্ধান
ভাবের গান গাইতে গেলে অভাবে ভাব জাগেনা
আমি গান গাইতে জানিনা ।।

আরকুন শাহ্‌, সিতালং ফকির বলেছেন ‘মারফতি গাও’
সৈয়দ শাহ্‌ নূরের গানে শুকনাতে দৌড়াইলেন নাও
করিম বলে প্রাণ খুলে গাও গাইতে যাদের বাসনা
আমি গান গাইতে জানিনা ।।





আমি কুলহারা কলঙ্কিনী

8 07 2012

আমি কুলহারা কলঙ্কিনী
আমারে কেউ ছুঁইও না গো সজনি ॥
প্রেম করে প্রাণবন্ধুর সনে
যে দুঃখ পেয়েছি মনে
আমার কেঁদে যায় দিন রজনী ॥





আগের বাহাদুরি এখন গেল কই

8 07 2012

আগের বাহাদুরি এখন গেল কই
চলিতে চরণ চলেনা দিনে দিনে অবশ হই
আগের বাহাদুরি এখন গেল কই ।।
মাথায় চুল পাকিতেছে মুখের দাঁত নড়ে গেছে
চোখের জ্যোতি কমেছে মনে ভাবি চশমা লই।।
মন চলেনা রঙ তামাশায় আলস্য এসেছে দেহায়
কথা বলতে ভুল পড়ে যায় মধ্যে মধ্যে আটক হই
আগের বাহাদুরি এখন গেল কই ।।
কমিতেছি তিলে তিলে ছেলেরা মুরুব্বী বলে
ভবের জনম গেল বিফলে এখন সেই ভাবনায় রই
আগের মত খাওয়া যায়না বেশি খাইলে হজম হয়না
আগের মত কথা কয়না নাচেনা রঙের বারুই
আগের বাহাদুরি এখন গেল কই ।।
ছেলেবেলা ভাল ছিলাম বড় হয়ে দায় ঠেকিলাম
সময়ের মূল্য না দিলাম তাইতো জবাবদিহি হই
যা হবার তা হয়ে গেছে আব্দুল করিম ভাবিতেছে
এমন একদিন সামনে আছে একেবারে করবে সই
আগের বাহাদুরি এখন গেল কই ।।