এগো মইলা, তোমার লাগিয়ে হাছন রাজা বাউলা

13 07 2012

এগো মইলা, তোমার লাগিয়ে হাছন রাজা বাউলা।
ভাবতে ভাবতে হাছন রাজা হইল এমন আউলা।।
দিনে রাইতে উঠে মনে, প্রেমানলের শওলা।
আর কত সহিব প্রাণে, তুই বন্ধের জ্বালা।।
সোনার রং অঙ্গ আমার, হইয়াছে রে কালা।
অন্তরে বাহিরে আমার জ্বলিয়ে রহিল কয়লা।।
লোকে বলে হাছন রাজা হইল রে আজুলা।
হাতে তলি দিয়া গিল্লা, করেরে কট মুল্লা।।
আজুলা হইয়া হাছন রাজায় বলে আল্লা।
বারে বারে বলে, লাইলাহা ইল্লাল্লা।
নাচে নাচে হাছন রাজা হইয়া ফানা ফিল্লা।।





সোনা বন্ধে আমারে

13 07 2012

সোনা বন্ধে আমারে দেওয়ানা বানাইলো
সোনা বন্ধে আমারে পাগল করিল।
আরে না জানি কি মন্ত্র করি জাদু করিল।।
রূপের ঝলক দেখিয়া তার আমি হইলাম কানা
সেই অবধি লাগল আমার শ্যাম পিরিতির টানা।।
হাসন রাজা হইল পাগল লোকের হইল জানা
নাচে নাচে পালায় পালায় আর গায়ে জানা।।
মুখ চাহিয়া হাসে আমার যত আদি পরী
দেখিয়াছি বন্ধের দুখ ভুলিতে না পারি।।





নিশা লাগিল রে

13 07 2012

নিশা লাগিল রে, নিশা লাগিল রে,
বাঁকা দুই নয়নে নিশা লাগিল রে।
হাসন রাজার পিয়ারীর প্রেমে মজিল রে।।
ছটফট করে হাসন রাজা দেখিয়া চাঁন মুখ
হাসন জানের মুখ দেখিয়া জন্মের গেল দুখ।।
হাসন জানের রূপটা দেখি ফালদি ফালদি উঠে
চিড়া বাড়া হাসন রাজার বুকের মাঝে টুটে।।





খাঁচার ভিতর কাকের ছানা খাওয়াইতেছি ঘৃত চিনি

13 07 2012

খাঁচার ভিতর কাকের ছানা খাওয়াইতেছি ঘৃত চিনি
মন বেড়িতে ধরে নিয়া সামনে দিলাম দানাপানি।।
আট কুটুরী নয় দরজা ঝাঁঝরা কাটা দেখতে মজা
উপরেতে রাকছে সোজা তিনশ ষাট-টা সূতা টানি।।
পাঁচ মসল্লায় খাঁচা তৈয়ার তিন গুণে রচনা তাহার
জোড়াতালি কি চমৎকার চামড়া দিয়া দিল ছানি।।
কাঁচা বাঁশে তেরি করে, জুঁইত দাড়ি লাগাইল পরে
থাকতে দিলো তার ভিতরে আঁধার কোঠায় কালমণি।।
কাকে কেবল কা কা করে ঘরে বাইরে ঘুইরা মরে
জালাল কেমনে রাখবে তারে ভাবিছে তাই দিন রজনী।।





আমারে কেউ চিনতে গেলে

13 07 2012

আমারে কেউ চিনতে গেলে
সোজা রাস্তা হয় বাঁকা।
বয়সে ক্ষুদ খোদার বড়
নামটি কিন্তু নিচে লেখা।।
একং দশং শতং হাজার
চৌরাশি লাখের বাজার
সকল ঘরে রয় দোকানদার
আমি মাত্র আছি একা।।
মুনশি আর মৌলানা কাজী
আমি সবার নায়েব মাঝি
আমার ছিপদ লিখতে আজি
অন্ত পায় না হাদিস ফেকা।্
দেখতে আমর মুখের হাসি
কত বেটা জঙ্গলবাসী
লয়েছে পিরিতের ফাঁসি
তবু নাকি পাইল দেখা।।
আমি রাখছি খোদার নাম
খোদায় করে আমার কাম
জালালে কয় সব বুঝিলাম
ভুল ভাঙ্গিতেই ভীষণ ঠেকা।।





ওগো স্বামী বল আমার কোথায় রাখি পা

13 07 2012

ওগো স্বামী বল আমার কোথায় রাখি পা
বাড়াই চরণ শিউড়ে উঠি দেইখ্যা তোমার গা।।
এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড মাঝে সেজেছিস তুই কতই সাজে
সবখানেতে তোরেই দেখি যেখানেতে আছে যা।।
দেহের গোমান কইরা মরি কিছুই তাতে নাই আমরারই
ছায়াবাজির ছায়া শুধু এ ছাড়া আর কিছুই না।।
আমি শুধু নামে নামী তুমিই যে সব কামের কামী
মাঝখানেতে হই বদনামী কুলির বাসায় কাকের ছা।।
পঞ্চভূতে দিয়া বেড়া আমার মাঝেই তোর চেহারা
লুকি দিয়া দেহের খাচায় জালাল নামে করিস রা।।





আসল নাম তার ঠিক পেলাম না

13 07 2012

আসল নাম তার ঠিক পেলাম না
শুনি কেবল যে যা বলে
সারা জীবন গেল আমার
পড়িয়া এই গণ্ডগোলে
কেউ বলিছে আগুন আল্লা কেউ বলিছে পানি হাওয়া
নাকের নলে জীবের ঘটে করিয়াছে সে আসা যাওয়া
যায় না তাহার নাগাল পাওয়া ঘুরতেছে সে ফাঁকির তালে
আত্মরূপে জীবের ঘটে যোগাইয়া নেয় বুদ্ধি তার
ব্রহ্ম অণ্ডে খণ্ডে খণ্ডে ভরে আছে এ সংসার
নাই কাহারও অধিকার ধরতে তারে কোনো কালে।
জালালে কয় শূন্য সময় সর্ব ব্যস্ত সদাই সে রয়
আদি অন্ত নাহি কিছু তার ভাবনাতে তাই হই বেহাল
সর্বক্ষম আর সর্ব ব্যস্ত কি দোষ হবে তারে বললে





দরবেশ তুমি আল্লাহ খোঁজ

13 07 2012

দরবেশ তুমি আল্লাহ খোঁজ
ঋষি খোঁজ ভগবান।
হয় না দেখছি কারো সাধ্য
করিতে তার অনুসন্ধান।।
ছিড়া ক্যাঁথা লেংটি ঝাঁটা
ঊর্ধ্ব অঙ্গে দীর্ঘ ফোঁটা।
মিছে সব ফন্দি আটা
সাড় করিল বন শশ্মান।।
ভগবান সে নয় জানোয়ার
কি দেখা পাবো গো তার
পাইল পাইবে স্বরূপ সাকার
যে রূপ আছে বর্তমান।।
তন্ত্র মন্ত্র উপবাসে
প্রাণায়াম কি রুদ্ধশ্বাসে
থাকতে আছো কোনো বিশ্বাসে
করে শুধু হাওয়া পান।।
নিজকে যখন চোখে ভাসে
বাক্যে তখন সিদ্ধি আসে
সকল বন্ধন যাবে খসে
আগ দোয়ারে উড়বে নিশান।।
তারে আর ভেবো না জুদা
ক্ষুদ নিয়ে হয়েছে খোদা
জালাল উদ্দির মন বেহুদা
ঘুরছে সদা পাহাড় ময়দান।।





ডুবলে নি কেউ ভাসে জীবন লইয়া

13 07 2012

ডুবলে নি কেউ ভাসে জীবন লইয়া
প্রাণ সই গো।
ডুবলে নি কেউ ভাসে জীবন লইয়া।।
সইগো সই…….
ঝাপ দিছি প্রেম সাগরেতে
আপন যৌবন লইয়া সখী-
আপন যৌবন লইয়া।
আর কি আমার পড়ে মনে
ভাসব জীবন লইয়া।
প্রাণ সই সই গো।।
প্রাণ সখী গো-
তোরা গৃহে যাগে সখী
ভরা কলসী লইয়া
আমার কথা জিগাইলে কইছ
কুম্ভীরে খায় ধরিয়া রে ধরিয়া।।
প্রাণ সখী-
কালিয়া কজলে আঁখি
কার বানে যায় চাইয়া সখী
কার বানে যায় চাইয়া।
শুধু দেহ পরে থাকবে
ময়না যায় উড়িয়া।
প্রাণ সই গো।।
প্রাণ সখী গো-
তোরা কেউ যাসনে সখী
কদম তলা দিয়া।
জালালে কয় প্রেম ঠাকুরে
বস্ত্র নেয় কাড়িয়া
প্রাণ সখী গো।।





আমার আমার কে কয় কারে

13 07 2012

আমার আমার কে কয় কারে
ভাবতে গেল চিরকাল।
আমি আদি , আমি অন্ত
আমার নামটি রুহুজ্জামাল।্
আমি ময় অনন্ত বিশ্ব
আমি বাতিন আমি দৃশ্য
আমি আমার গুরুর শিষ্য
ইহকাল কি পরকাল।।
আমার ভাবে আমি খাড়া
আমরা স্বভাব পড়ল ধরা
আমি জেঁতা আমি মরা
আমার নাহি তাল বেতাল।।
আমি লাইলী আমি মজনু
আমার ভাবনায় কাষ্ট তুমি
আমি ইউসুফ, মুই জুলেখা
শিরি ফরহাদ কেঁদে বেহাল।।
আমার এশকের তুফান
আমার লাগি হয় পেরেশান
আবাদ করলাম সারা জাহান
আবুল বাশার বিন্দু জালাল।।
আমি রোমের মৌলানা
শামস তো ব্রেজ দেওয়ানা
ঝুমলে আলম মোর শাহানা
খাজা সুলতান শাহ্ জালাল।।





জন্মে যে জন পাপ করে না ভাগী নয় যে করুণার

13 07 2012

জন্মে যে জন পাপ করে না ভাগী নয় যে করুণার
পাপির আছে তোমার কাছে দয়া পাইতে অধিকার।
পাপ না করলে মাফ করবে কি তখতে তুমি বসিয়া
মাফ না দিলে রহমানী নাম যাবে তোমার মুছিয়া।
তবে পুণ্য করে কাজ কি আছে
তোর কাছে হাত পাতিবার।।
দুর্বলের বন্ধু তুমি
সবলের তো কিছুই না।
প্রবল তোরে জনম ভরে
একদিন স্মরণ কর না।
অধম জেনে নেয়গো টেনে
খুলে তোমার রুদ্ধদ্বার।।
কোথায় ছিলাম, কেমনে আইলাম
কেমন ছলেতে
চেষ্টা করে পারলাম না আর
নিগূঢ় তত্ত্ব বুঝিতে।
জীবন গেল জলের স্রোতে
ভাসতে আছি অনিবার।।
কোথায় বা রয়েছ আল্লাহ
কোনো সাগরের তীরে
হাওয়ায় মিশে বেড়াইতেছ
কোনো আকা ফিরে।
মৃত্যু সবার সঙ্গের সাথী
বাতি নিভলে অন্ধকার।।
সমাধির পুণ্য গর্ভে, দেহ যখন হইবে লীন
আর কি বাকী থাকবে আমার আসতে ভবে কোনোদিন।
কাতরে কয় জালাল উদ্দিন
এই খেলা পাতিস না আর।।





চিনগে মানুষ ধরে

13 07 2012

চিনগে মানুষ ধরে
মানুষ দিয়া মানুষ বানাইয়া
সেই মানুষে খেলা করে।।
কিসে দিব তার তুলনা
কায়া ভিন্ন প্রমাণ হয় না
পশু পক্ষী জীব জানোয়ার
যত আছে এই সংসারে।।
দুই ভাণ্ডের পানি দিয়া
সকল মানুষ গড়ে
তার ভিতরে নিজে গিয়া
আত্মারূপে বিরাজ করে।।
মায়া সূঁতে জাল বুনিয়া
প্রেমের ফুলে ভাব তুলিয়া
প্রাণেতে প্রাণ মিশাইয়া
রুহু জগত ঘুরে।
নবরঙে ফুল ফুটিলে
ভ্রমর আসে উড়ে
ফুলের মধু দেখতে সাদা
আপনি খেয়ে উদর ভরে।
স্বরূপ নিয়ে দেখ না চেয়ে
পুরুষ নহে সবই মেয়ে
চল ভেদ-বিচারে।।
একটি পুরুষ নিজ ছুরতে
জগত মাঝে ঘুরে
লক্ষ নারীর মন যোগাইয়া
প্রেমের মরা আপনি মরে।





ভাব বিনে কি ভাবের মানুষ ধরতে পারা যায়

13 07 2012

ভাব বিনে কি ভাবের মানুষ ধরতে পারা যায়।
অচেনা এক ভাবের পাখি হৃদয় পথে উড়ছে সদায়।।
ভাবেতে ব্রহ্মান্ড ঘুরে বিশ্বব্যাপী একটি তারে
প্রাণের কথা ধীরে ধীরে কানের কাছে কইয়া যায়।
কাননে ঐ কুসুম কলি, ঝড়ে ফুটে আসে অলি
রক্তজবা, জুই, চামেলী, আপন রঙে আপনি চায়।।
কেন বা জন্ম-মৃত্যু হয়, কয়জনে সেই খবর লয়
গ্রহ তারা গগনময় মিটি মিটি কেন চায়।।
ভাবের সাগর গভীর ভারী সকলের ঘটে না পাড়ি
প্রেমিকের ভাঙ্গা তরী, বিন্ বাতাসে উজান ধায়।।





খোদার ঘর হয় মক্কা শরীফ এই কথা পাগলে বলে

13 07 2012

খোদার ঘর হয় মক্কা শরীফ এই কথা পাগলে বলে
এমত প্রত্যয় কেমনে হবে বিচার বোধ জাগ্রত হলে।
প্রতি ঘটেই খোদা আছে এ বিশ্ব ব্রহ্মান্ডময়
সেতো পাখির মত খাঁচায় পুরে এক স্থানেতে রাখার নয়
কেমনে লব তার পরিচয় চার দেয়ালের অন্তরালে।
মনের মক্কা ঠিক করিয়া নামাজ যে জন পড়ে
হইতে পারে উপাসনা থাকবে ধ্যানের ঘরে
চার দেয়ালে মাথা খুঁড়ে পরম পাওয়া কেমনে চলে।
সেজদা দিলে চৌদিকে দাও মনের মাঠে গিয়া
ফাঁকির ঘরে নেকির হুকুম আপন স্বার্থ নিয়া
মতলব ধারী পয়গাম্বরী দীন জারি হয় বুদ্ধি বলে।।





আমি না থাকিলে খোদা তোমার জায়গা ভবে নাই

13 07 2012

আমি না থাকিলে খোদা তোমার জায়গা ভবে নাই
স্থান না পেয়ে অন্য কোথাও আমাতে লয়েছ ঠাঁই।
দুনিয়া তোর স্বরূপ-ছায়া আমাতে তোমারই মায়া
ছেড়ে দিলে এসব কায়া তুমি বলতে কিছু নাই।
বাগান থাকলে ফোঁটে কলি আগুন থাকলে রহে ছাহি
কথায় শুধু ভিন্ন বলি আসলে এক বুঝতে পাই।
অনন্তে হয়েছ অসীম খুঁজতে গেলেই ঘোড়ার ডিম
রাধা রহিম কৃষ্ণ করিম কত নামে ডাকছি তাই।
মস্ত বড় প্রেম করেছ তুমিই আমি হয়ে গেছ
আকারেতে নীল হয়েছ প্রেমেতে খেলিছ লাই।
স্বপ্নে দেখি ঘর পুড়ে যায় চিৎকার করি হায়রে হায়
পলাইয়া বা যাব কোথায় দিচ্ছে জালাল তোর দোহাই।।





মানুষ মরে বিশ্ব ছেড়ে যাবে সে কোথায়

13 07 2012

মানুষ মরে বিশ্ব ছেড়ে যাবে সে কোথায়
শুধু দৃশ্যান্তরে গেলে সবাই করে যে হায় হায়।
যাদের দেখি না চোখে আছে তারা ভিন্ন লোকে
স্বপনের দিপালোকে কখন কখন দেখা যায়।
বিশ্ব ভাণ্ডের নাই যে সীমা বুঝতে নারি তার মহিমা
অনন্তের অশান্ত কোলে কিছুই না হারায়
সময়ের এই অন্ধকারে ঘুরছে সবই বৃত্তাকারে
মিছেই জালাল ধাঁধাঁয় পড়ে কটা দিন কাটায়ে যায়।





মানুষ বাজায় কলের বাঁশী তালেতে বেতাল

13 07 2012

মানুষ বাজায় কলের বাঁশী তালেতে বেতাল।
উতাল হাওয়ায় বেতাল টানে বেঁধে আনে মায়াজাল।।
মরণ খাড়া পাছ দুয়ারে কোনো দিন বাতি নিভে যায়
কি করিলাম কার বা লাগি ভেবে করি হায়রে হায়
ঢেউ খেলে যায় দিলদরিয়ায় নেচে বেড়ায় মন-মাতাল।।
কোনো আকাশের কোনো সুদূরে রয় বিরহির প্রাণধন
বিনালাভে কারে ভেবে কাটাইলাম এই জীবন।
ধাঁধাঁয় রয় হে বিশ্বভুবন, কেউ কি তারে পায় নাগাল।।
নিঃশ্বাসে রে বিশ্বাস করে বেঁধেছিলাম বাড়ি ঘর।
কোনোদিন বা পরোয়ানা আসে, পাওয়া যায় না সেই খবর।
খালি করে সাধের পিঞ্জর, কোনোদিন পাখি দেয় উড়াল।।





থাকতে ক্ষুধা প্রেমের সুধা

13 07 2012

থাকতে ক্ষুধা প্রেমের সুধা পান করে যা ওরে মন
দিন গেলে সে হবে না আর ভাটা যদি লয় যৌবন।।
পিরিতের নাই পাঞ্জিপুঁথি নাই কিছু তার বেদ-বিধান
সময় মতে প্রণয় সূতে আপনা হতেই পড়ে টান,
যার যে ভাবে মন মিশাবে সেই ভাবে তার যায় জীবন।।
সংসার-সাগর মাঝে নাও বেয়ে যায় সবজনায়
এপার ছেড়ে ওপার যেতে কেউ নাহি আর কারে পায়
ঘূর্ণিপাকে লাখে লাখে ডুবে হেথায় হয় মরণ।।
আছমানে জমিনে পিরিত অনন্তকাল ধরিয়া
সময় হলে রোদ বাদলে রাখে শান্ত করিয়া
তা না হলে ফুলে ফলে শোভিত না এই ভুবন।।
পর্বত পিরিতে অটল সমুদ্দুরের সাথে
তাইতে পানি বাষ্প হইয়া উঠে গিয়া তার মাথে,
সেথায় গিয়া মেঘ বাঁধিয়া হয়রে বারি বরিষণ।।
প্রেমেতে হইল জঙ্গলবাসী মুণি ঋষি আওলিয়া
গাছতলাতে দিন কাটাল সারাজীবন কান্দিয়া,
পাইল কারে কইল নারে ভাবছে তাই জালালের মন।।





নবীজির খাশ মহলে

13 07 2012

নবীজির খাশ মহলে যাবে যদি আয়রে মন।
মাটির মত হইয়া খাঁটি পণ কর জীবন মরণ।।
মাটি থাকে মাঠে পড়ে, কোদালে কাটিয়া তারে
কুম্ভকারে এনে পরে কতই করে বিড়ম্বন।
তারপরে তুইল্যা চাকে, ঘুরায় তাকে ঘুরনীপাকে
পরিত্রাহী বলে ডাকে আশাতে রাখে জীবন।।
জল ঢাইল্যা কাদা করে আছারের পর আছার মারে
তবু নাহি ছাড়ে তারে পাঁড়াইয়া করে নরম।
তারপরে পিটাপিটি, কর কত টিপাটিপি
পরিপাটি রৌদ্রে শুকায় তখন।
রৌদ্রে হলে ভাজা ভাজা, পুইনায় নিয়া সাজায় পাঁজা
সাজার উপর কত সাজা অনলে করে দাহন।।
পুইনার বাহির কইরা পরে, টুটাপাটা বাছাই করে
বিকি দেয় প্রেমের দরে, প্রেম বাজারে হয় চলন।
খরিদ্দার আসিয়া পরে হাতে ধরে ওজন করে
ওজনে ঠিক হইলে পরে ঠুকা দিলে করে কন্ কন্।।
তবু না সন্দেহ যায়, ধইরা নিয়া জলে চুবায়
যদি রে মন জল চুয়ায়, গ্রাহকে নেয় না ধন।
আল্লাহ নবীর করুণ আঠা, ভজন পথে পঞ্চ কাঁটা
সাড়ে চব্বিশ চন্দ্রের আটা, উকিল বলে কর গে সাধন।।





হায়রে লুকাইয়া কয়দিন রই

13 07 2012

হায়রে লুকাইয়া কয়দিন রই
দুটানা পিরিতের জ্বালা
কেমনে প্রাণে সইগো
লুকাইয়া কয় দিন রই।।
দুই দিনের প্রেম হইলে পরে
থাকতাম আমি আড়ে আড়ে গো।
প্রাণ সপেছি জন্মান্তরে
আউরী দিবাম কইগো।।
সাচ্ছা দুধের দধি বলে
চুন লইলাম মুখে মুখে তুলে গো।
জলেতে মুখ দ্বিগুণ জ্বলে
শীতল কিসে হইগো।।
বল্লে কি হয় মুখের বুলে
কাম করতে হয় কলাকৌশলে গো
উকিল বলে ধান না দিলে
চুঁছায় কি আর হবে খৈ।।